তোমাকে নিয়ে লিখা আমার জীবনের সৃতি

ক্ষনস্থায়ী এ জীবনের অনভূতি কত বিচিত্র। কত তুচ্ছ কারনে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, আবার ওলট-পালট করা ঝরেও কী শান্ত, কী স্থির মানুষের হৃদয়। ভালোবাসার গল্পগুলোতেও তাই ছড়িয়ে থাকে রহস্যময়তা, বৈচিত্রতা। সে সব গল্প ঢেউ তোলে প্রেমিক হৃদয়ে, মনে পড়ে যায় ফেলে আসা দিন, অন্তবিহী....
তুলে আনুন জীবনের পরতে পরতে জমে থাকা সেই সব খন্ড খন্ড নষ্টালজিক স্মৃতি, ছড়িয়ে দিন বন্ধুদের মাঝে...


আসুন আমাদের ভালবাসাটাকে আরেকটু ছড়িয়ে দিই। আমরা এখন থেকে গল্পগুলোকে শুধুমাত্র প্রেমকেন্দ্রিক না রেখে চেষ্টা করবো, সেটা যাতে ভালবাসা কেন্দ্রিক হয়। গল্পে গল্পে আমাদের ভালবাসাটুকু ছড়িয়ে পড়ুক প্রিয় মানুষটার জন্য,বাবা-মার জন্য, বন্ধুদের জন্য, দেশের জন্য আর আমার ভালোবাসা  নাম প্রকাশ না করা সেই তোমার জন্য।


একটু সময় হয়তো লাগবে, তারপরও আপনারা সব সময় পাশে ছিলেন বলেইতো এতো দূর। পাশে থাকুন,শুনতে থাকুন আমাদের ভালোবাসার গল্প শুভকামনা রইলো

ছোট্ট একটা ঘর আমার ছোট্ট একটা মন। সেই ঘরেতে বাস করে আমার প্রিয় জন.. ছোট্ট দুটি আখি তার ছোট ছোট পা তাই দেখে উরে গেল আমার পরান টা

অাপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয আমার ভালোবাসার মানুষকে।..
আসুন এইবার মূল গল্পে, আমরা ২ জন ২ জন কে আনেক আগে থেকে জানতাম,কারণ আমাদের বাড়ি কাছা কাছি তাই। প্রায় সময় আমাদের দেখা হত- কথা হত,এক সাথে চলতাম,আরো কত কী।
আমার এক দিন মনে হল,আমি ওর প্রতি কেমন যানি হয়ে যাচ্ছি!!! কিন্তু কেন? আমার ভিতর কেন জানি ওকে ছাড়া শূন্য মনে হতে লাগল! আমি বুঝতে ছিলাম না কেন আমার এমন হচ্ছে? মনের ভিতর হাজারো প্রশ্ন জাগতে সুরু করল আমার,কিন্তুু কোন প্রশ্নের উত্তর ছিল না আমার কাছে। সারাটা দিন ভাবনার পরে উত্তর মিলত না কিছুই।যার ফলে আমি অনেক টা হতশা গ্রস্ত হয়ে পড়ছিলাম,
এর মাঝে সামনে চলে আসল আমার পরীক্ষা, আমি তখন স্যারের কাছে পড়তে যাই,কিন্তুু নিয়মিত যেতাম না।

আহ!!!  আপনারা আমার গল্প শুনতেছেন কিন্তুু আমি কে?
আমার পরিচয় টাই তো বলা হলো না,
আমি রহমান ।আমরা ১ ভাই ১ বোন আর বাবা - মা কে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার, আমি সংসারে সবার বড়।
কিন্তুু আমার জীবনে সুখের দিন ফুরিয়ে কষ্টের দিন চলে আসল। এখন আপনাদের প্রশ্ন কষ্টের দিন কেন আসল? আরে আপনারা উপরে যে মেয়ে টার কথা শুনে আসতেছেন সব তার জন্য হচ্ছে।
আবার ফিরে অাসুন গল্পে,
দিন যায় দিন আসে, 
সময়ের স্রোতে ভাসে। 
কেউ কাঁদে কেউ হাঁসে, 
তাতে কি যায় আসে। 
খুঁজে দেখো আশে পাশে, 
কেউ তোমায় তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসে,

ওকে আমি হয়তো এই কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তুু কেন বলব?আমি তো বুঝতাম না ভালোবাসা কী? কিন্তুু না আমি আসলে ওকে ভালোবেসে ফেলেছি, য়া আমি ওর সাথে আনেক কাছা কাছি সময় কাটিয়ে বুঝতে পারছি। আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আমি কী ভাবে আনেক টা সময় ওর সাথে কাটিয়েছি?

আপনাদের আগেই বলছি আমি পড়তে যেতাম স্যারের কাছে,
এই বার একটু আমার কথা বলি আমি ছিলাম সবার আদরের ছেলে, সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসত, সবার চোখে আমি ভালো ছেলে ছিলাম। স্কুলে সব শিক্ষক ছাত্র - ছাত্রী আমাকে ভালোবাসত, আমি ক্লাসের ১ম ছিলাম সব সময়, কিন্তুু আমার যাকে ভালো লাগত আমি হয়তো তার চোখে খারাপ ছিলাম, আস্তে আস্তে  আমার ফুলে - ফুলে সাজানো জীবন টা কেমন জানি অগোছালু হয়ে যাচ্ছিল,পড়া- লিখা করতাম না ঠিক মত,যত খারাপ কাজ আছে সব করতাম মনে হয়, আমার জীবন থেকে আমি ২ বছরে অনেক কিছু হারিয়েছি, সবার চোখে খারাপ হতে লাগলাম,কিন্তুু কেন?  জীবনে প্রথম কারো ভালোবাসা না পেয়ে আমি কোথায় যে হারীয়ে গেলাম তা আমি ও জানতাম না।
অাবার ফিরে যাই গল্পে

অামি স্যারের কাছে পড়তাম ঠিক কিন্তুু প্রতিদিন যেতাম না, পড়তে যাওয়ার নাম করে বন্দু দের সাথে অাড্ডা দিতাম, মাজে মধ্যে স্যারের বাসাই চলে যেতাম। কিন্তুু এমন একদিন আসল আমি সময় হওয়ার আগে স্যারের বাসায় গিয়ে বসে থাকতাম। প্রশ্ন হচ্ছে না আপনাদের কেন আমার এই পরিবর্তন?
আসলে আমি যানতে পারলাম ঐ রূপকথার মেয়ে টা ও স্যারের কাছে আসবে পড়তে তাই।এই ভাবে ২-৩ দিন চলে গেল কিন্তুু মেয়ে টা আসলো না, আমি ভাবলাম হয়তো আর আসবে না , আমার ভাবনা ভোল ছিল সেই দিন আমি আবার গেলাম স্যারের বাসায় একটু দেরি করে গিয়ে ছিলাম, গিয়ে দেখি আমার ভালোবাসার মানুষ টা ঠিক আমি যে চেয়ারে বসি তার পাশের চেয়ারে বসে আছে, অামার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি মিষ্টি করে হাসতে ছিল।অামার ও যেন সুখের অার সীমা ছিলনা, আমি তারাতারি গিয়ে বসে পড়লাম আমার চেয়ারে, এই বার আর আমার পড়ার দিকে মন বসেনা, আমি সামনে বই নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম মেয়ে টার মুখের দিকে। সারা পৃথিবীর সব কিছু যেন আমি খুজে পেতাম ওর কাছে গেলে, কিন্তুু কোন লাভ নাই কারণ অামার ভালোবাসা এখনো প্রকাশ করতে পারিনাই তার কাছে।
আমি অনেক বার বলতে গিয়ে ও বলতে পারি নাই, কারণ আমি সব সময় ভয়ে থাকতাম যদি না সে আমার কথায় রাগ করে আমার সাথে কথা না বলে,দূরে চলে যাই আমার থেকে এই ভয়ে। এক দিন আমি ওকে অামার কাছে ডেকে বল্লাম তোমার সাথে কিছু কথা আছে, তখন ও বল্ল কী কথা বল? আমি বল্লাম পরে বলব। এই বলে আমি চলে গেলাম সেই খান থেকে। এর পর থেকে ওর সাথে দেখা হলে বলতো কী কথা বল, কী কথা বল? এই ভাবে ও আমার পেছনে ঘুরছে আনেক দিন,আর না বলে পারলাম না অবশেষে বলে দিতে হল আমার প্রকাশ না করা ভালোবাসার কথা, আমি ওকে সবার অাড়ালে নিয়ে ওর কানে কানে বল্লাম আমি তোমাকে ভালোবাসি, এই কথা বলার পর ও যেন আকাশ থেকে পড়ল, আমি বল্লাম তোমার উত্তর এর আপেক্ষায় থাকব।এই বলে চলে অাসলাম সেই খান থেকে। কিন্তুু এর পর ও কেমন যেন আমার থেকে দূরে সরে গেল,

বৃষ্টি ভেজা আমার আকাশ – 
মনটা তাই উদাস উদাস, 
মেঘের সাথে মিষ্টি কথন – 
দুই নয়নে অঝর শ্রাবন

আমার মনে বাড়তে লাগলো কষ্ট, এর মাজে কেটে গেল অনেক দিন, ও অন্য স্কুলে পড়ার জন্য চলে গেল অনেক টা দূরে কিন্তুু আমি পডে রইলাম অাগের মত,কিছু দিন পর মেয়ে টা আসল আর আমি আমার উত্তর টা দিতে বল্লাম, সে বল্ল এই টা কোন দিন ও হবে না। ঐ কথা শুনার পর আমার হৃদয় টা কাঁচের মত ভেঁগে গেল, আমি অনেক কষ্ট ভরা মন নিয়ে ফিরে এলাম, অার অামার জীবন এই বার আরো খারাপ ভাবে চলতে লাগল, আপনাদের কাছে কিছুই লোকাব না সব সত্যি ঘটনা বর্ণানা করব।

সবুজ বনের ছোট্ট পাখি, 
অবুঝ তার মন. 
কেউ জানেনা জগৎ জুড়ে 
কে তার আপনজন।
আপন মনে ঘুরে বেড়ায় 
নীল্ আকাশের বুকে।
তাইতো নিজে দুখী হয়েও, 
সুখী সবার চোখে…

আমার জীবন টা ঠিক ঐ রকম ছিল তখন, সবার আড়ালে কাঁদি মনের কষ্টে, সবার সাথে সুখের জীবনের অভিনয় করে যেতাম। তখন নিজেকে এক জন অভিনেতা মনে হত আমার

অামার জীবনের নুতুন সাথী যোগ হলো এই বার। বলেন তো সেই সাথী টা কে?আরে ভাই বোঝেন না? সেই কষ্টের সাথী হল সিগারেট।

এই ভাবে চলতে লাগলো আমার দিন, এরি মাঝে চলে আসল আমার ঠিকানা পরিবর্তন করার সময়, আমি স্কুলের জীবন শেষ করে চলে আসলাম কলেজ এর এক অন্য জীবনে,


 কথায় আছে সময়ের সাথে মানুষের পরিবর্তন।


আমি মেঘের মতো চেয়ে থাকি।
চাঁদের মতো হাঁসি।
তারার মতো জলে থাকি, 
বৃষ্টির মতো কাঁদি। 
দূর থেকে বন্ধু তোমার কথা’ই শুধু ভাবি


আমি বলি মানুষ পরিবর্তন হতে পারে, মানুষের মনে যে সত্যিকার ভালোবাসা জন্মে তা পরিবর্তন হয়না কখনো।

আমি আনেক দূরে চলে গেলে ও আমার মন আমার মনের মানুষের কাছে থেকে গেল,যে মনের ভাগ কাউকে আর দিতে পারিনাই। আমি সবসময় ভাবতাম ওর কথা, কিন্তুু অামার বিশ্বাস ছিল আমার ভালোবাসার কাছে সে হার মানবে এবং সে অামার কাছে ফিরে অাসবে।কারণ

জীবনের প্রদীপকে ভালবাসার 
তেল দিয়ে জালিয়ে রাখো.
কারণ সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায়.
কিন্তু ভালবাসার উদয় হৃদয়ে হয়….
মৃতুতেই সে অস্ত যায়...

এর মাঝে শেষ হল প্রায় ২ টি বছর।মাজে মাজে ওর সাথে দেখা হতো আমার কিন্তুু আগের মত কথা হতো না, আনেক খারাপ লাগতো ওকে দেখলে, কিন্তুু বেসি দিন না দেখে ও পারতাম না থাকতে।আরি মাজে মজার একটা এমন দিন আসল যে দিনের কথা কোন সময় চাইলে ও মন থেকে মুছে দিতে পারবো না। সেই দিন টি হল ০১-০৭-২০১৩ ইং সেই দিন ছিল আমার থেকে আমাদের হওয়ার কিছু মূহুর্ত।
আমার ভালোবাসার কাছে হার মেনে সে ফিরে আসল আমার কাছে।

এর পর শুরু হল আমাদের ২ জনের ভালোবাসা, সব সময় চেষ্টা করতাম ২জন একটু কথা বলতে কিন্তুু পারতাম না, কারণ মেয়ে টা কোন ভাবে আমার সাথে কন্টাক্ট করতে পারতো না তাই।মাজে মাজে আমাদের কথা হতো আনেক কষ্টে, আবার তা ও ১ / ২ মিনিটের বেসি না।
এই ভাবে চলতে লাগলো আমাদের মধুর সময়, সময় যত যাচ্ছে আমাদের ভালোবাসা গভীর থেকে আরো গভীরে যাচ্ছে।
চিরদিন বেঁচে থাকবে আমাদের এই ২ মনের বন্ধন, শত অগাতে ও ভাঙ্গতে পারবে না কেউ আমাদের প্রমের বাঁধন। 



আপনাদেরকে বলা গল্প টি কোন কাল্পনীক নয়। এই টা আমাদের সত্যিকার ভালোবাসার গল্প।

Post a Comment

1 Comments

  1. apnaber kmon laglo janaben & Amader jnno sobi dowa korbe jate amra cero jibon ak sate takte pri..

    ReplyDelete